নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার কে নিয়ে সোনার দেশসহ দুটি অনলাইন পোর্টালে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মানহানিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার ছোট ভাই ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু।
শনিবার এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদকে সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শীরাও অবাক হয়েছে প্রকাশিত সংবাদের ভাষা দেখে।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মিজানুর রহমান মিজুু জানান ; ঘটনাটি সম্পূর্ণ পারিবারিক ব্যাপার৷ ১০ আগস্ট আমার বড় ভাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ারের ব্যক্তিগত অফিসে গিয়ে চাচা আলেপ বিশ্বাস ও তার ছেলে মওদুদ বিশ্বাস বড় ভাই এর খারাপ আচরণ করে। অফিসের বাউন্ডারি তার জমিতে আছে বলে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ করতে থাকে। আমার বড় ভাই শান্তভাবে তাদের জানান যে, যদি আপনাদের জমিতে ঘর থাকলে অবশ্যই সেটা সমাধান করা হবে। কিন্তু সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ইচ্ছেকৃত ভাবে গন্ডগোল করার জন্য তাৎক্ষণিক ঘর ভাঙতে বলে বড় ভাইকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করলে আমি তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে মওদুদ বিশ্বাস কাপুরুষের মতো আমার গালে কামড় দেয় এসময় আশেপাশের লোকজন তাদের নিবৃত্ত করে বের করে দেয়।
মওদুদ বিশ্বাসের কামড়ে আমার গাল গুরুতর রক্তাক্ত জখম হলে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এবিষয়ে ভোলাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করি৷ সেখানে আমার চাচা আলেপ বিশ্বাস ও তার ছেলে মওদুদ বিশ্বাসকে মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। স্থানীয় লোকজন সবকিছুর স্বাক্ষী। আমার বড় ভাই কে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান; ভোলাহাট উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার হওয়া রুবেল আহমেদ হৃদয়ের সাথে রাজনৈতিক বিরোধ থাকায় সেই মূলত এই কাল্পনিক কাহিনী ও সম্পূর্ণ বানোয়াট তথ্যে কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে।
মওদুদ বিশ্বাসের কামড়ে রক্তাক্ত জখম হয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু।
স্থানীয় লোকজনের সাথে সেদিনের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকাশিত সংবাদের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং আলেপ বিশ্বাস ও তার ছেলের উগ্র আচরণ এর প্রমাণ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন জানায়, মওদুদ বিশ্বাস মুলত মিজানুর রহমান মিজুর গালে কামড় দিয়ে ধরে। এসময় লোকজন না এগিয়ে আসলে আরো খারাপ কিছু ঘটতে পারতো। এসময় মিজুর গাল কামড়ের জন্য রক্তাত্ত্ব জখম হয়৷ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একজন শিক্ষক ও সবার শ্রদ্ধার ব্যক্তি। তাকে জড়িয়ে বানোয়াট নিউজে আমরা নিজেরাই হতবাক।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়; স্থানীয় বিএনপি নেতা রুবেল আহমেদ হৃদয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাবর বিশ্বাসের অনুসারী৷ স্থানীয় রাজনীতিতে সাবেক এই দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে রেষারেষি সম্পর্ক বিদ্যবান।
অনুসন্ধান করে জানা যায়; রুবেল আহমেদ হৃদয় মূলত একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ। ভোলাহাট উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। কিছুদিন আগে স্থানীয় একটি সংগঠন ভোলাহাট ইউ সি সি লি: এর নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ারের ছোট ভাই মিজানুর রহমান মিজুর কাছে পরাজিত হয়। এরপর থেকে রুবেল আহমেদ হৃদয় আরো বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠে।
রুবেল আহমেদ হৃদয় সাংবাদিকতাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে বলে জানা যায়। বর্তমানে সে জেলা যুবদলের গণশিক্ষা সম্পাদক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিজানুর রহমান মিজুর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply